খুলনা থেকে শান্তিনিকেতন /চিকিৎসায় ভারত নির্ভরতা: সমস্যা কোথায়

628 Visited

22 Sep
খুলনা থেকে শান্তিনিকেতন /চিকিৎসায় ভারত নির্ভরতা: সমস্যা কোথায়

শেখ মহিতুর রহমান বাবলু :: খুলনা থেকে কলকাতার দূরত্ব খুব বেশি নয়। ১২৫ কিঃ মিঃ। এদিকে  ঢাকার দূরত্ব ৩৩০ কিঃ মিঃ। আমি ঢাকা হয়ে কলকাতা যাব শুনে ছোটভাই চমকে উঠল ।বাংলাদেশের অন্য শহরের মতো খুলনা থেকেও  সরাসরি ট্রেন বা বাসে কলকাতা যাবার সুবিধা আছে। 
ছোট ভাই বললো,খুলনাতে এয়ারপোর্ট নেই। ঢাকা যেতে হবে যশোর হয়ে।মাত্র ৫১ কিঃ মিঃ পথ যেতে সময় লাগবে ৪/৫ ঘন্টা। কারণ   খুলনা যশোর বেশিরভাগ সড়কে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগি  হয়ে পড়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সড়কে বছরজুড়ে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি।সুতরাং ড্রাইভারকে নিয়ে বেনাপোল সীমান্ত পর্যন্ত যেতে বললো সে । তার পর সীমান্ত পেরিয়ে ওপার থেকে ট্রেন বা বাসে চেপে কলকাতা গেলে সময় ও কষ্ট দুটোই  সাশ্রয় হবে বলে ধারণা তার । 

বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়ার ভিসা নেবার ঝামেলা এড়াতে আমি লন্ডন থেকেই  চড়াদামে অনলাইনে ই-ভিসা নিয়ে এসেছি। এই ভিসার শর্ত অনুসারে  নির্ধারিত কিছু এয়ারপোর্ট অথবা সিপোর্ট দিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে হবে।সুতরাং আমাকে ঢাকা হয়ে আকাশ পথেই পাড়ি জমাতে হল উত্তম- সুচিত্রার মহানগরী কলকাতায় । 

         ভারতের প্রাক্তন রাজধানী কলকাতা।  এ অঞ্চলে পা রেখেছিল পর্তুগিজ , ওলন্দাজ , আর্মেনিয়ান ও  বিলেতি  বণিকেরা৷  প্রথমবার  কলকাতা এসেছিলাম  ১৯৮৭ সালে। রাশিয়ার রাজধানী মস্কো যাবার পথে।দীর্ঘদিন পর আবার আসা এই রোমান্টিক  শহরে। 

 এবার দেখলাম, কলকাতা শহরের পরিচ্ছন্নতা আগের  চেয়ে বেড়েছে। রাস্তায় যানজট দুঃসহ নয়। সবচেয়ে বিস্মিত হয়েছি আগের দমদম বিমানবন্দর আর  এখনকার নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়ন দেখে।বাইরে কলকাতা শহরের চেহারা যা-ই হোক, বিমানবন্দরের চেহারা সম্পূর্ণ  আধুনিক । ডমিস্টিক এবং ইন্টারন্যাশনাল- এয়ারপোর্টের দুই উইং-ই  পরিষ্কার পরিছন্ন । মশামুক্ত এবং তার অনুপম স্থাপত্য।১৯৮৭ সালে রাশিয়া যাবার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে মশার কামড়ের কথা ভুলে যাবার নয় । ভারতের প্রাপ্তন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল  নেহরু একবার এই শহরে রাজনৈতিক সফরে এসে শহরটিকে আখ্যা দিয়েছিলেন দুঃস্বপ্নের নগরী হিসাবে  (A city of nightmare)|

৩৪ বছর পশ্চিমবঙ্গে কমিউনিস্ট শাসন  প্রতিষ্ঠিত থাকায়  কলকাতা শহরের  সর্বত্র জঞ্জালপূর্ণ  শ্রীহীন দারিদ্র্যের চেহারা প্রকট হয়েছে ।যা এখনো দৃশ্যমান।বামফ্রন্ট শাসনের শেষ দিক থেকে কলকাতাকে কিছুটা পরিচ্ছন্ন শহর করে তোলার চেষ্টা শুরু হয়। শহরে কিছু ফ্লাইওভার বা উড়াল সেতু তৈরি হয়। পাতাল রেল ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়। রাজ্য সরকার কলকাতাকে তিলোত্তমা শহর করে তোলার ঘোষণা দেয়। তাতে কলকাতার কিছুটা উন্নয়ন হয়েছে। একটি ইউরোপীয় ধাঁচের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়েছে। কিন্তু শহরটির  আগের বেহাল অবস্থা ও দারিদ্র্যমুক্ত হয়নি। ।

 হুবারে চেপে হাওড়া যাবার পথে চোখে পড়লো একটা অন্ধকার  সুড়ঙ্গ পথ। দ্রুত গতির যানবাহন চলছে এই পথ দিয়ে। অবাক হলাম কিছু মানুষ ঐ অন্ধ গলিতে রাস্তার পশে শুয়ে থাকার দৃশ্য দেখে।চালক একটু রাস্তার কিনারা ঘেঁসে যানবাহন চালালেই বড় ধরণের অঘটন ঘটতে পারে।সামরিক খাতে বিশাল বাজেট ও বিশ্ব রাজনীতিতে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে থাকা ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতি এতো নাজুক না দেখে ভাবতেও পারিনি । 

কলকাতা শহরে প্রধান রাজপথের দু'পাশে  সারি সারি নোংরা বস্তিঘর ও তার দরিদ্র অধিবাসীদের দেখা মেলে  এবং তাদের দারিদ্র্যতার ছাপ  বেশ প্রকট।সকালে গণশৌচাগারের অভাবে যত্রতত্র লাইন ধরে মলমূত্র ত্যাগের দৃশ্য দেখে লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে যায়  । সর্বাধুনিক মোটরগাড়ির পাশে দরিদ্র ও নোংরা মানুষের মিছিল দৃষ্টি এড়ায়নি আমার  ।দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে  অসংখ্য বস্তি দেখেছি। কিন্তু তাদের দারিদ্র্যতা  কলকাতার বস্তিবাসীদের মতো অতটা বিজ্ঞপিত নয়। পুরো ব্যাপারটাই আমার কাছে বিস্ময়কর মনে হয়েছে। 

কলকাতায়  হোটেল কস্ট বেশ।কারণ হিসাবে  বাংলাদেশী  রোগী ও শপিং কারীদের প্রচন্ড আগমন বিশেষভাবে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে হলো।বিশ্বের অন্যান্য  দেশের মত কলকাতাতেও  গড়ে উঠেছে বাংলাদেশী পাড়া।যা আগে দেখিনি।  বেনসন সিগারেট শহরের  সবজায়গাতে  প্যাকেট ধরে পাওয়া না গেলেও বাংলাদেশী পাড়ায় পাওয়ায় যায় কাটুনে  কাটুন।

ভারতের  অনেক হাসপাতাল ও ক্লিনিক বাংলাদেশী রোগী নির্ভর। বাংলাদেশিরা না গেলে এসব প্রতিষ্টান বন্ধ হয়ে যাবে।এদিকে  বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের মৌলিক চাহিদা যথা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তন্মধ্যে ৬৮ হাজার গ্রাম নির্ভর বাংলাদেশের সরকারী প্রতিঠানে  স্বাস্থ্য সেবা খুবই নাজুক।বেসরকারি উদ্যোগে দেশে মানসম্পন্ন ডাক্তার হাসপাতাল বা ক্লিনিকের অভাব নেই ।কিন্তু দেশের রাজা বাদশারা জনগণের করের টাকা ব্যায় করে সিঙ্গাপুর ,থাইল্যান্ড ,ইংল্যান্ড বা আমেরিকাতে যান  স্বাস্থ্য  পরীক্ষা বা চিকিৎসা নিতে। আর মধ্যবিত্ত ও ধনীরা  না বুঝেই হুজুগে মাতালের মতো ছোটে  ভারতে।

বিলেতে থাকে আমার এক বন্ধুর সহধর্মিনী ডাক্তার। তার সাথে কথা হচ্ছিলো ভারতে গিয়ে চিকিৎসা নেবার ব্যাপারে। একজন ডাক্তার হিসাবে তার দৃষ্টিভঙ্গি কি ? প্রশ্ন ছিল এমন।  তিনি হাসলেন আর বললেন,"মানুষের কথা কি বলবো। আমার বাবা মা কি কান্ড ঘটিয়েছে তাই শুনুন।  আমার মা জয়েন্ট পেইন রোগে আক্রান্ত। তাকে ডক্টর দেখিয়ে মেডিসিন এনে দেয়া হলো। এর ক'দিন না যেতেই শুনি বাবা, মাকে নিয়ে ইন্ডিয়া যাচ্ছেন  চিকিৎসা সেবা নিতে। জিজ্ঞাসা করলে মা বললেন, তোর বাবা বলেছেন বাংলাদেশের ডাক্তারের উপর ভরসা নেই। ওরা কশাই।  চলো ইন্ডিয়া যাই। যথারীতি তারা ইন্ডিয়া থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফিরলেন। আমি মাকে  বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়া উভয় দেশের ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন মোবাইলে  ছবি তুলে  পাঠাতে বললাম । তিনি তাই করলেন। প্রেসক্রিপশনে দেখলাম উভয় দেশের ডাক্তার একই ঔষধ লিখেছে। শুধু কোম্পানিটা ভিন্ন।মায়ের কাছে জানতে চাইলাম  কেমন আছো এখন? 
 "ভালো আছিরে মা। ইন্ডিয়ান ডাক্তারের  ঔষধ খেয়ে বেটার ফিল করছি ।" 

বাংলাদেশে রাষ্ট্র কিংবা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা দেশের হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নেন না বলেই বাংলাদেশের  চিকিৎসা ব্যবস্থার মান নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এতো সংশয় এতো  অনিহা।তার উপর ভারতের দালাল এক শ্রেণীর গণমাধমের অপপ্রচার তো আছেই। কিন্তু দেশের অধিকাংশ  মানুষ এটাও জানেন না যে জনগণের করের টাকায় বিদেশে চিকিৎসা নেবার সুযোগ না থাকলে ব্যক্তিগত টাকা খরচ করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ইউরোপ আমেরিকা যাবার শখ অনেকের হতো না ।

রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ মন্ত্রী, এমপিরা বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে প্রমাণ হয় জনগণের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সরকার প্রধানের গল-ব্লাডার অপারেশন, রাষ্ট প্রধানের চোখের চিকিৎসা,স্বাস্থ্য  পরীক্ষা ইত্যাদি  বিদেশে হলে জনগণ চিকিৎসা পাবে কোথায়?

দেশের মানুষের স্বাস্থ্য ও  চিকিৎসা সেবার মান  উন্নয়ন  ,বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক  তৈরির নতুন নতুন উদ্যোগ  না নিয়ে ভারতীয় হাসপাতালে ভর্তির বুথ খুলে বিজ্ঞাপন দেয়া হয় বাংলাদেশের শহরে বন্দরে ।এসব দেখার কেউ নেই।

বিবিসি'র সাথে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক রশীদ-ই-মাহবুব বলেন , "কিছু হলেই চিকিৎসার জন্য ভিন্ন দেশে যাওয়া অনেক ক্ষেত্রে  মানসিকতার বিষয়।
তবে কখনো-কখনো চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন আছে বলে তিনি মনে করেন ।"
অধ্যাপক মাহবুব বলেন, "কিছু কিছু  চিকিৎসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে উন্নত প্রযুক্তি এখনও আসেনি। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের  হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।"
শীর্ষস্থানীয় এই চিকিৎসক বলেন, "বাইরে যাওয়ার প্রবণতা এবং চিকিৎসা পাওয়া - দুটো এক জিনিস নয়। নাইনটি পার্সেন্ট চিকিৎসা আমাদের দেশেই সম্ভব।"অধ্যাপক মাহবুব বলছেন, "রাষ্ট্র কিংবা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিয়মিত স্বাস্থ  পরীক্ষার জন্য বিদেশ যান।এটা দেশের সাধারণ মানুষের আস্থার জায়গাটা  নড়বড়ে করে তোলে । "

এই তো সেদিন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ,সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চরম সংকটাপন্ন অবস্থায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি হলেন।তার চিকিৎসা সেবায় সহযোগিতা দিতে সিঙ্গাপুর থেকে একদল চিকৎসক আনা হল। ভারত থেকে উড়ে আসলেন উপমহাদেশের নামজাদা কার্ডিওলজিস্ট দেবী প্রসাদ শেঠী। তারা সবাই  ভূয়সী প্রশংসা করলেন বাংলাদেশের ডাক্তারদের। প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতে ডাঃ শেঠী বললেন, "ওবায়দুল কাদের কে বাংলাদেশে যে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে পৃথিবীর অন্য যে কোনো দেশে নিলে এর চাইতে বেশি কিছু করার ছিল না"।

ভীষণ মুমূর্ষু অবস্থায় ওবায়দুল কাদের বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি হলেন ।যে কোন মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় দেশে বিদেশে আওয়ামী শিবিরে দোয়ার হিড়িক পড়ে গেল। অবশেষে বাংলাদেশী ডাক্তারদের সুচিকিৎসায় অবস্থার উন্নতি হলে তাকে সিঙ্গাপুর নেয়া হলো। এদিকে প্রথম আলো'র খবরে দেখলাম, সরকারি দলের প্রভাবশালী নেতা মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন,‘’ওবায়দুল কাদেরকে প্রথম দিকে দেশেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যখন তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়েছে, তখন তাঁকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে’’ ।
 চিকিৎসক ও হাসপাতার সম্পর্কে দেশের নীতি নির্ধারকরা এমন কান্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য দিলে সাধারণ মানুষের আর দোষ কি ?  
অভিযোগ আছে আওয়ামীলীগের ২০১২-২০১৮ মেয়াদ কালে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা যন্ত্র কেনার নামে  হাজার হাজার  কোটি টাকা লুটপাট  হয়েছে।শুধু রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নামে প্রায় ১১০ কোটি টাকা ব্যায় করা হয়।একটি জেনারেল হাসপাতালের জন্য এমন সব যন্ত্রপাতি কেনার জন্য তালিকাভুক্ত করা হয় যা বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানেও নেই ।

তখন  স্বাস্থমন্ত্রী ছিলেন মোঃ নাসিম।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্তাদের আশীর্বাদপুষ্ট ও ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত  ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে এ ধরণের দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন চিকিৎসা খাতের বিদগ্ধ বিশ্লেষকরা।এসময় ভারত থেকে বড় বড় কাটুন ভর্তি প্রয়জনীয় অপ্রয়জনীয় বহু মূল্যবান চিকিৎসা যন্ত্র হাসপাতাল গুলোতে এসেছে সত্যি। তবে ওই কাটুন  গুলোর মধ্যে খড়, কুটা ,সোলা ও কাঠের খন্ড  ভর্তি ছিল।চিকিৎসা যন্ত্র ছিলনা একটিও।এ দৃশ্য  গণমাধম খবরে দেশবাসী দেখছে।
 
 এদিকে দেশের শীর্ষ গণমাধম সূত্রে জানা যায় ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা দিতে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কতৃপক্ষ  দেশের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ভাড়া করে এনেছিলেন ।এখন প্রশ্ন হল 
আওয়ামীলীগের ২০১২-২০১৮  মেয়াদে জনগণের করের হাজার হাজার কোটি  টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে চিকিৎসা যন্ত্র কেনার নামে। ওই যন্ত্রগুলো কোথায় গেল ? কে দেবে জনগণের এ প্রশ্নের জবাব ? সরকার প্রধান কি পারবেন সংশ্লিষ্টদেরকে জবাবদিহিতার মুখমুখী করতে ?

মনে রাখতে হবে এ দিন শেষ দিন নয় । ইতিহাস তার প্রয়জনে দিনের পরিবর্তন করবেই। সরকারের সংশিলিস্টরা  জবাবদিহিতার মুখোমুখি  না হলে। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ব্যার্থতার পরিচয় দিলে ।জনগণের করের টাকা নিয়ে এই ধরণের লুটপাট  চলছে এবং চলবে । এর পর একদিন তাসের ঘরের মত  ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড।সামাজিক ভারসাম্যতা।  ফুসলে উঠবে জনগণ।তখন পরিস্থিতি মোড় নেবে ভিন্ন বাকে।    ( চলবে )...................লন্ডন ২১.০৩.২০১৯

লেখক : টিভি উপস্থাপক ,কলামিস্ট লেখক ,Editor : Newslife24.com