বিশ্বের প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সোলার এলইডি টিভির উদ্ভাবক বিজ্ঞানী মাইনুল ইসলাম সেলিম এর বিশেষ সাক্ষাৎকার......

264 Visited

22 Sep

বিশ্বের প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সোলার এলইডি টিভির উদ্ভাবক বিজ্ঞানী মাইনুল ইসলাম সেলিম এর বিশেষ সাক্ষাৎকার.....

.বিশ্বের বিকল্প জ্বালানি হিসেবে সোলার শক্তি আবিষ্কার ও এর ব্যবহার শুরু হয়েছে ১৮৩৯ সাল থেকে। কিন্তু সোলার প্যানেল থেকে সৌরশক্তি সংরক্ষণ এবং সরবরাহের জটিলতা এবং এর উচ্চ মূল্যের কারণে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে পরিচিত সোলার প্যানেলের ব্যপক প্রসার খুব একটা দৃশ্যমাণ নয়। যদিও সম্প্রতি পরিবেশের কথা মাথায় রেখে জার্মান সহ উন্নত বিশ্বের অনেক দেশে সোলার ব্যবহারের হিড়িক লক্ষ করা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশীদের জন্য গর্ব ও আনন্দের বিষয় হলো সোলার প্যানেল থেকে সৌরশক্তি সংরক্ষণ ও সরবরাহের পথ বিশ্বকে দেখাতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশে জন্মউদ্ভুত বৃটিশ নাগরিক মাইনুল ইসলাম সেলিম। তিনি বিশ্বের প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সোলার এলইডি টিভি উদ্ভাবণ করে গোটা বিশকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। সেই সাথে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় আবারো উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম ।

বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বিশ্বের পরিবেশবান্ধব জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় অসাধারণ অবদান রাখা মাইনুল ইসলাম সেলিম সম্প্রতি বিলেতের গনমাধ্যমের  মুখোমুখি হন । তার সাথে কথা বলে লিখেছেন ‘শেখ মহিতুর রহমান বাবলু’

জন্মের সময়ই যেন সাথে নিয়ে এসেছেন আবিষ্কারের দক্ষতা। মানব কল্যাণ মানবতার মুক্তি এসব নিয়ে তিনি ভাবেন সেই বাল্যকাল থেকে। নিজ গ্রামের বাড়িতে নয়মাস বয়সের এক হতভাগা সন্তানের মা রাতের আঁধারে কাচা বাথরুমে বাথরুম করার এক অসাবধান মুহূর্তে নীচে পড়ে গিয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার ঘটনা দারুনভাবে নাড়া দেয় মাইনুল ইসলাম সেলিম কে। ভাবতে থাকেন দেশে তো রোদের কমতি নেই। সুতরাং সৌরশক্তি চালিত বৈদ্যুতিক যন্ত্র তৈরী করে দেশের হত দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো দরকার। কাল বিলম্ব না করে বৃটেনে ফিরে এসে গবেষণা শুরু করেন সৌরশক্তি নিয়ে। এ বিষয়ে অধিক তথ্য ও অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ছুটে যান সদূর জার্মানিতে। অংশগ্রহণ করেন সোলার পাওয়ারের উপর বিভিন্ন কর্মশালায়। অবশেষে দীর্ঘ সাধনা শেষে উদ্ভাবন করেন বিশ্বের প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সোলার এলইডি টিভি। নাম রাখেন গ্রীন ম্যাংগ। প্রশ্ন করেছিলাম আপনার সৌর যন্ত্রের নাম গ্রীন ম্যাংগ কেন? একগাল মিষ্টি হাসি হেসে বলেছিলেন পশ্চিমারা তাদের দেশের ফল এপল, ব্ল্যাকবেরী কে প্রমোট করতে পারলে আমার দেশের আম ফলকে বিশ্ব দরবারে অন্য উচ্চতায় তুলে ধরতে একটু চেৠ করি না কেন?

মাইনুল ইসলাম সেলিম জন্মগ্রহণ করেন ১৯৭৭ সালের ১ জানুয়ারী শরিয়তপুরের জাজিরা থানার একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি নরবিজ্ঞানের উপর মাষ্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। এর পর ব্রিটেনে আসেন উচ্চশিক্ষার জন্য। ২০১০ সালে সেলিম ইউনিভার্সিটি অব-নর্থ থেকে Masters Research in International Development ও ২০১২ সালে বৃটেনের স্বনামধন্য বিদ্যাপিঠ লন্ডন মেট্রপলিটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এস.সি সোসাল রিসার্স এর উপর উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।

তিনি বৃটেনের ডেমি পাওয়ার গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘ ১৩ বছর। বর্তমানে সেলিম আর.বি.এস এনার্জি ইউ কে তে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।

মাইনুল ইসলাম সেলিম ইতোমধ্যে দুটি বৃটিশ পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। এটা তার কর্মের স্বীকৃতি। আজ গোটা দুনিয়ার মানুষ জানে বাংলাদেশে জন্মউদ্ভুত বৃটিশ নাগরিক মাইনুল ইসলাম সেলিম একজন ডায়নামিক ক্রিয়েটিভ মানুষ। তার জীবনের প্রতিটি পদে পদে রয়েছে কেবল সাফল্যের গল্প। আলাপ চারিচার মাধ্যমে সেই সব গল্প প্রশ্ন উত্তর আকারে নীচে পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলঃ

বাবলুঃ সৌরশক্তি ব্যবহার করে সৌর যন্ত্র উদ্ভাবনের আগ্রহ আপনার মধ্যে কবে কখন ও কিভাবে জন্ম নিয়েছিল?

সেলিমঃ বিজ্ঞানের এটি স্বর্ণযুগ। পৃথিবী আজ প্রযুক্তি নির্ভর। আমার বিবেচনায় ইনফরমেশন ইজ দি বিগ পাওয়ার। শক্তিশালী এই ইনফরমেশন হাতের মুঠোয় পেতে প্রথমেই প্রয়োজন এনার্জি। কিন্তু তা কি আমাদের দেশের গ্রামে গঞ্জে আছে? সহজ উত্তর নো।

আমি ২০১১ সালে বাংলাদেশের কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে দেখি। প্রযুক্তি ব্যবহার তো দূরের কথা মানুষের সাধারন ভাবে ব্যবহারের জন্য যে এনার্জি প্রয়োজন তাও সেখানে নেই। গ্রামের মানুষের এ দূর্দশা দেখে মনটা কেঁদে ওঠে। ভাবতে থাকি কিভেবে এ সমস্যা থেকে দেশের একটা বিশাল জনগোষ্ঠিকে রক্ষা করা যায়।

এরই মধ্যে খবর পাই একটি মর্মান্তিক ঘটনার ,অবচেতন মন আরো ব্যাকুল হয়ে ওঠে। অন্ধকারাচ্ছন্ন গভীর রাত। চারিদিকে পীন পতন নীরবতা। গ্রামের কাচা টয়লেটে টয়লেট করতে গিয়ে পা ফসকে নীচে বহুদিনের দুর্গন্ধ মলের স্তুপের মধ্যে পড়ে মৃত্যু হয় নয়মাস বয়সের এক দুর্ভাগা সন্তানের জনমদুখি মার। খবরটি শুনতেই আমি তাৎক্ষনিকভবে ছুটে যাই সেখানে। সব কিছু দেখে শুনে ব্যাথায় বুকটা টন টন করে ওঠে। ঝুকিপূর্ণ কাচা টয়লেট অন্ধকার রাত এসব নিয়ে প্রশ্ন করি আমার মা কে। উত্তরে তিনি বলেন “ভয়ানক এই পরিস্থিতির স্বীকার একদিন আমিও হতে পারি। কিন্তু গ্রামের মানুষের যে কিছু করার নেই বাবা। হাতের কাছে প্রয়োজনীয় আলো না থাকায় এমন ঘটনা অস্বাভাবিক কিছু নয়”।

 কিছুদিন পর ফিরে আসি বিলেতে। সামাজিক দায়বদ্ধতা অনুভব করি নিজের মধ্যে। শুরু করি গবেষণা। সৌরশক্তি ব্যবহার করে সৌরযন্ত্র উদ্ভাবনের গবেষণা। দীর্ঘ পাঁচ বছর গবেষণা শেষে আমার স্বপ্ন সার্থক হয়। উদ্ভাবন করতে সক্ষম হই পৃথিবীর প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সোলার এলইডি টিভি। নবজাতকের নাম রাখি “গ্রীন ম্যাংগ”।

বাবলুঃ গ্রীন ম্যাংগ নামের সার্থকতা ও যৌক্তিকতা সম্পর্কে কিছু বলুন।

সেলিমঃ গ্রীন ম্যাংগ নামকরনের পেছনে দুটি উদ্দেশ্য ছিল।

১। এপল ও ব্ল্যাকবেরী দুটি ফল। বিশ্বের দুটি সেরা ব্র্যান্ড আইটেমের নাম। সমগ্র বাংলাদেশে সহ আমার জন্মস্থান জাজিরাতে আম তুমুল জনপ্রিয় একটি ফল।পশ্চিমাদের মত আমিও আমাদের দেশিও ফল ম্যাঙ্গোর নাম প্রমোট করতে চাই। দাড় করাতে চাই এপল ও ব্ল্যাকবেরীর পাশে। সেজন্যই আমার উদ্ভাবিত সৌরযন্ত্রের নাম রেখেছি গ্রীন ম্যাংগ।

২। আপনি ভাবছেন ম্যাংগ তো বুঝলাম কিন্তু গ্রীন কেন? সত্য কথা বলতে কি সোলার এনার্জি মানে গ্রীন এনার্জি যা ১০০ ভাগ পরিবেশ বান্ধব। সুতরাং একজন বাংলাদেশীর উদ্ভাবিত পরিবেশবান্ধব সৌরযন্ত্রের নামকরন গ্রীন ম্যাংগ আমার কাছে যথার্ত মনে হয়েছে বলেই এটা নামকরন করেছি গ্রীন ম্যাংগ।

বাবলুঃ বাংলাদেশের মানুষ সোলার পাওয়ার ব্যবহারে খুব বেশি অভ্যস্থ নয়। এমত অবস্থায় গ্রীন ম্যাংগ বাংলাদেশে বা বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষের কাছে আদৌ গ্রহণযোগ্য হবে বলে কি আপনি মনে করেন?

সেলিমঃ অবশ্যই বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সব অনুন্নত দেশে গ্রীন ম্যাংগ ব্যাপক জনপ্রিয় হবে ইন-শা-আল্লাহ। এটা কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র। আমি দৃড়তার সাথে বলতে পারি যে শুধু অনুন্নত দেশে নয় উন্নত বিশ্বেও গ্রীন ম্যাংগোর প্রসার খুব দ্রুত লক্ষণীয় হবে বলে আমার ধারনা।

বাবলুঃ কিন্তু কেন?

 

সেলিমঃ (একটু হেসে) গ্রীন ম্যাংগো বিশ্বের প্রথম আধুনিক সৌরযন্ত্র। ওজন মাত্র ১.২ কেজি। সৌর শক্তি চালিত বহুমুখি ব্যবহারযোগ্য এই যন্ত্রটি দ্বারা কেবল পাওয়ার সাপ্লাই না, ডিজিটাল মিটার অ্যাকসেস, টেলিভিশন অ্যাকসেস, কম্পিউটার অ্যাকসেস একই সাথে হচ্ছে। তার মানে এই ডিভাইসে বাতি জ্বলবে, মোবাইল চার্জ হবে, ফ্রিজ, টেলিভিশন কম্পিউটার ইত্যাদি চলবে।

সোলার প্যানেল সহ বহুমুখি ব্যবহার যোগ্য এই যন্ত্রের দান বাংলাদেশী মূল্যে মাত্র ১৫/২০ হাজার টাকা। সহজে বহনযোগ্য এই ডিভাইসটি ৭ ঘন্টা সৌর শক্তি চার্জ করে পরবর্তিতে ২১ ঘন্টা পর্যন্ত ব্যাবহার করা যাবে।

গ্রীন ম্যাংগোর সোলার প্যানেল সরাসরি রোদের আলোতে রাখা জরুরী নয়। উজ্জ্বল আলোতেও এটা চার্জ করা যাবে। সুতরাং স্বল্প মূল্যের এতো সুবিধার ডিভাইসটি যে সর্বস্তরের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে তা কি আর ঘটা করে বলার অবকাশ রাখে?

বাবলুঃ গ্রীন ম্যাংগোর গ্রাহক কারা হবে বলে আপনি মনে করছেন?

সেলিমঃ ওয়েল! ২০১২ সালের বিশ্ব ব্যাংকের দেয়া তথ্য মতে পৃথিবীর ১.২ বিলিয়ন মানুষের কাছে যথাযথভাবে আজও বিদ্যুৎ সেবা পৌছায় নাই। সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ বঞ্চিত মানুষের সংখ্যাও পৃথিবীতে কম নয়। তৃতীয় বিশ্বের এসব হতভাগা মানুষের কথা মাথায় রেখেই গ্রীন ম্যাংগোর বর্তমান ডিভাইসটির ডিজাইন করা। সুতরাং বলাবাহূল্য যে এরাই আমার টার্গেট পিপল।

বাবলুঃ দেশের জনগন ও সরকারের কাছে আপনার প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি সম্পর্কে কিছু বলুন।

সেলিমঃ প্রাপ্তি সম্পর্কে কিছু বলার সময় এখনো হয়নি। ইট ইজ টু আরলি। তবে এটুকু বলতে পারি আমি আমার দেশকে মনে প্রাণে ভালবাসি। সুতরাং আমার ব্যক্তিগত প্রত্যাশা খুব বেশী নয়।

আমি চাই দেশের মানুষের মাঝে গ্রীন ম্যাংগো একটি বিপ্লব সৃষ্টি করুক। স্বল্প মুল্যের এই ডিভাইসটি গ্রাম গঞ্জে এমনকি শহরের ঘরে ঘরে পৌছে দিতে দেশের গণমাধ্যম ও সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের সহযোগিতা আমার দরকার। তাছাড়া ডিভাইসটি তৈরী করার জন্য প্রয়োজনীয় কাচা মাল আমদানির ক্ষেত্রে সরকার আমার পাশে থাকবে আশা করি।

সত্য কথা বলতে কি আমাদের দেশে এখনো প্রচুর পরিমানে বিদ্যুৎ ঘাটতি রয়েছে। কুইক রেন্টাল পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পিছনে সরকারের ভর্তুকিও বিকাল। এমত অবস্থায় দেশের মানুষের কাছে আমার প্রত্যাশা। গ্রীন ম্যাংগো ঘরে ঘরে ব্যবহার করুন। এতে সরকারের বিপুল অর্থ সাশ্রয় হবে। বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন একধাপ এগিয়ে যাবে। সর্বপরি উপকৃত হবে চরম ঝুকির মধ্যে থাকা বিশ্ব পরিবেশ।

বাবলুঃ আপনি কি মনে করেন বাংলাদেশী বিজ্ঞানী হাসান শহীদের তৈরী করা সোলার হেলিকপ্টার একদিন গ্রীন ম্যাংগোর এনার্জি ব্যবহার করে আকাশে উড়বে?

সেলিমঃ দেখুন একজন উদ্ভাবকের সব উদ্ভাবিত উপকরণ যে সফলতার মুখ দেখবে এমন নয়। সুতরাং এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলতে পারি সোলার চালিত হেলিকপ্টার যদি বানিজ্যিকভাবে বাজারে আসে সেক্ষেত্রে গ্রীন ম্যাংগো তার একটা অংশ হতে পারে।

বাবলুঃ আপনার আগামী দিনের স্বপ্ন ও পরিকল্পনা কি?

সেলিমঃ ১। বিদ্যুতের অভাবে যারা পিছিয়ে আছে ঐসব মানুষগুলোকে সোলার এনার্জি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রযুক্তির এই স্বর্ণযুগের সাথে সম্পর্কের সেতুবন্ধন করা।

২।গ্রীন ম্যাংগোকে একটি আন্তর্জাতিক মানের ব্র্যান্ড আইটি হিসেবে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করা।

৩। মানবতার কল্যাণে ভয়ংকর হুমকির মধ্যে থাকা বিশ্বের পরিবেশ রক্ষায় নিজের সম্পৃক্ততাকে আরো জোরালো করা।

বাবলুঃ পাঠকের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন

সেলিমঃ শুধু ভোগে নয় ত্যাগেই শান্তি অফুরন্ত। পৃথিবীতে মানবতার জন্য কিছু করতে পারাটা সৌভাগ্য ও আনন্দের বিষয়। নতুন নতুন আবিষ্কার পৃথিবীকে পরিবর্তন ও অগ্রগতির দিকে নিয়ে যায়। সুতরাং সকল পাঠকের কাছে আমার বিনীত নিবেদন ক্রিয়েট ইওর মাইন্ড ক্রিয়েটিভ প্লিজ।

Published on Bangla Times London...20.08.2016